সভাপতির কথা

জিটিএফসি একটি স্বপ্নের নাম

মো: বাকীবিল্লাহ; চেয়ারম্যান, জিটিএফসি স্কুল অ্যান্ড কলেজ

জিটিএফসি একটি স্বপ্ন। একটি সাধনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই সমাজের জন্য কিছু করার প্রবল ইচ্ছা। আর সে ইচ্ছা থেকেই পেয়ে যাই সমমনা বেশ কয়েকজন তরুণকে। এভাবেই সৃষ্টি জিটিএফসির। জিটিএফসি মানে- জেনারেশন টুয়েনটি ফার্স্ট সেঞ্চুরি। অর্থাৎ একবিংশ শতাব্দীর প্রজন্ম। বিশ্বে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণের ফলে বর্তমান শতাব্দী বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ। আর এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি বিকল্প নেই। সে বিষয়টি সামনে রেখেই সিদ্ধান্ত নিই শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজ করার।
আমাদের দেশের বাস্তবতায় শিক্ষায় সম্মান থাকলেও টাকা কম। যেখানে অন্য অনেক পেশার লোকেরা বেশ স্বাচ্ছন্দে পরিবার নিয়ে চলছেন, সেখানে এ ক্ষেত্রের মানুষেরা কোনোভাবে তাদের জীবনধারণ করে যাচ্ছেন। তবে ব্যতিক্রমও দুয়েকজন আছেন। সেটা উল্লেখযোগ্য না। যাই হোক এমন বাস্তবতার মধ্যেই এ সেক্টরে কাজ করার সিদ্ধান্ত। তা-ও আবার উদ্যোক্তা হিসেবে। উদ্যোক্তা হওয়া এমনিতেই অনেক চ্যালেঞ্জের। তার ওপর সেটা যদি হয় শিক্ষা সেক্টরে। কারণ এখনো অনেক মানুষ ভাবেন – ছেলে-মেয়েদের পড়ানোটা শিক্ষকদের নৈতিক কর্তব্য। এখানে আবার বেশি টাকা কেন? যা দিচ্ছি- সেটাই তো বেশি।
যাই হোক, এবার মূল আলোচনায় আসি। আমরা চাই- দক্ষতা ও নৈতিকতাসম্পন্ন সত্যনিষ্ঠ মানুষ গড়তে। যাদের ভেতরে থাকবে মানবিক মূল্যবোধ। যারা সমাজের নেতৃত্ব দিয়ে পৃথিবীকে এগিয়ে নেবে। পৃথিবীবাসীর কল্যাণে ব্রত হবে। সমাজে শান্তি ও শৃংঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত করবে। জানি এটা পৃথিবীর কঠিনতম কাজগুলোর একটি। তবে অসম্ভব নয়। এ স্বপ্নকে ছোঁয়ার জন্যই প্রতিষ্ঠা জিটিএফসি স্কুল অ্যান্ড কলেজের। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে সাভারের কলমায় এর যাত্রা শুরু।
আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আছে অনেক দুর্বলতা। তারপরেও সত্যনিষ্ঠ মানুষ গড়ার এই কঠিনতম কাজটি করে যেতে চাই। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় বলতে চাই- সত্য যে কঠিন,
কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,
সে কখনো করে না বঞ্চনা।